জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শেখ হাসিনা পতনের পর রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটনে বড় ধরনের সাফল্য দেখিয়েছে । গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত এনবিআরের কাস্টমস ও আয়কর এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মোট ১৬ হাজার ৫৭২টি কর বা রাজস্ব ফাঁকির ঘটনা উদঘাটনে অভিযান পরিচালনা করেছে।
এতে জড়িত রাজস্বের পরিমাণ ৬ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। এরমধ্যে আদায় হয়েছে ৯৯৪ কোটি টাকা। মঙ্গলবার এনবিআরের গণসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাঠ পর্যায়ের দপ্তরসমূহ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
এতে বলা হয়, এই সময়ে (সেপ্টেম্বর ২৪ থেকে মে ২৫) বিভিন্ন কাস্টমস হাউস মোট ২ হাজার ২১৫ টি রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটনের অভিযান পরিচালনা করেছে। এতে জড়িত রাজস্বের পরিমাণ ছিল ১৮৩ কোটি টাকা, যার পুরোটাই আদায় হয়েছে। অপরদিকে বিভিন্ন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট মোট ৬ হাজার ৮০৩ টি রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটনের অভিযান পরিচালনা করেছে যাতে জড়িত রাজস্বের পরিমাণ ছিল ৫১৩ কোটি।
এরমধ্যে আদায় হয়েছে ৮৯ কোটি টাকা। এছাড়া নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, মূল্য সংযোজন কর, ঢাকা (ভ্যাট গোয়েন্দা) ২৩১ টি রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটনের অভিযান পরিচালনা করেছে। এতে জড়িত রাজস্বের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৬৩৯ কোটি টাকা। বিপরীতে আদায় হয়েছে ২৪০ কোটি টাকা। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর একই সময়ে রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটনের অভিযান পরিচালনা করে মোট ৭৩ কোটি টাকা আদায় করেছে।
অপরদিকে, সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) ১৮১টি কর ফাঁকি উদঘাটনের অভিযান পরিচালনা করেছে। এতে জড়িত রাজস্বের পরিমাণ ৩৬৬ কোটি টাকা এবং আদায়কৃত রাজস্বের পরিমাণ ১৯৪ কোটি টাকা। আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট মোট ১৭০টি কর ফাঁকি উদঘাটনের অভিযান পরিচালনা করেছে। এতে জড়িত রাজস্বের পরিমাণ ১ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা এবং আদায়কৃত রাজস্বের পরিমাণ ১১০ কোটি টাকা।
এছাড়া, বিভিন্ন ৪১টি কর অঞ্চল মোট ৬ হাজার ৯৭২ (টি কর ফাঁকি উদঘাটনের অভিযান পরিচালনা করেছে। এতে জড়িত রাজস্বের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৫৮৮ কোটি টাকা এবং আদায়কৃত রাজস্বের পরিমাণ ১০৫ কোটি টাকা।
Leave a Reply