নড়াইলের লোহাগড়ায় মেয়ের বিয়ে বাবার অনুমতি ছাড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে মোঃ শরিফুল জমাদ্দার (৫০) নামে এক বিএনপি কর্মিকে কে কুপিয়ে যখম করেছে আওয়ামীলীগ কর্মিরা।
শনিবার (১৪ জুন) রাত ৯ টা ৩০ মিনিটের সময় উপজেলার চাচই পশ্চিম পাড়া গ্রাম এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বিএনপি ও আ.লীগের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
আহতরা হলেন, শিমুল শিকদার (৩২), রুমি (৪০) ও সুমি (৩৮), মনির হোসেন (৫০), শরিফুল জমাদ্দার , জিয়াবুর রহমান ও অজ্ঞাত অন্যান্য।
আহতদের লোহাগড়া সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গুরুতর আহত শিমুল শিকদার ও শরিফুল জমাদ্দার কে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহতদের মধ্যে শরিফুল জমাদ্দার মৃত্যুশয্যায় রয়েছে বলে যানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরিফুল জমাদারের মেয়েকে তার মামারা শরিফুলের অনুমতি ছাড়াই বিয়ে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি প্রতিবাদ জানান এবং বিষয়টি নিয়ে গ্রামে সালিশ বসে। সালিশ চলাকালীন সাবেক চেয়ারম্যান আখতার ফকির ও জয়পুর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারন সম্পাদক শিকদার সাহাবুদ্দিন সাবুর নেতৃত্বে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে অতর্কিত হামলা চালায়।
স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য আতিয়ার রহমান জানান, হামলাকারীরা প্রত্যেকেই আওয়ামীলীগ কর্মী ও সমর্থক।
স্থানীয় বিএনপি নেতা নাজমুল হুদা জানান, এলাকায় আ.লীগের সন্ত্রাসী দল এলাকায় ক্ষমতা বিস্তার করার জন্য এই হামলা চালিয়েছে।
রাতে সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে লোহাগড়া থানা পুলিশ। পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনীর একটি টহল দলও এলাকায় গিয়েছে।
এ ঘটনার পর চাচই গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে, যদিও পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, “বিয়েকে কেন্দ্র করে পারিবারিক বিরোধের জেরে এই সংঘর্ষ হয়েছে। আমরা ঘটনার তদন্ত করছি। দোষীদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
আ.লীগ কর্মীদের হামলার বিষয় তিনি কোন মন্তব্য করেন নি।
Leave a Reply