1. mdsabbirzamader7@gmail.com : admin :
বছরে নষ্ট হচ্ছে ১ কোটি ২০ লাখ টন চাল - Dainik Sotter Kontho- দৈনিক সত্যের কণ্ঠ

বছরে নষ্ট হচ্ছে ১ কোটি ২০ লাখ টন চাল

ডেক্স রিপোর্ট
    Update Time : Monday, November 4, 2024
  • 38 Time View
দেশে প্রতিবছর গড়ে চালের উৎপাদন হচ্ছে প্রায় চার কোটি টন। উৎপন্ন এসব চালের মধ্যে নষ্ট ও অপচয় হচ্ছে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ টন। মূলত চালের পলিশিং ও ভাতের মাড় ফেলে দেওয়ার মাধ্যমেই এসব চাল নষ্ট হচ্ছে। এ ধরনের অপচয় রোধ করা গেলে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর চাল রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
ছবিঃ সংগৃহীত

দেশে প্রতিবছর গড়ে চালের উৎপাদন হচ্ছে প্রায় চার কোটি টন। উৎপন্ন এসব চালের মধ্যে নষ্ট ও অপচয় হচ্ছে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ টন। মূলত চালের পলিশিং ও ভাতের মাড় ফেলে দেওয়ার মাধ্যমেই এসব চাল নষ্ট হচ্ছে। এ ধরনের অপচয় রোধ করা গেলে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর চাল রপ্তানি করা সম্ভব হবে।

গতকাল রবিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত পুষ্টিভাত কনভেনশনে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়। বলা হয়, চালকলে চালের পলিশিং বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি বসাভাত খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, যার মাধ্যমে ভাতের মাড় ফেলা বন্ধ হবে।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. এ কে আজাদ চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. খুরশিদ জাহান।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খাদ্যবিজ্ঞান গবেষক ও মাড়ের ধৃতিমান চিহ্নিতকারী গাজী রফিক। নিজের গবেষণার নানা বিষয়বস্তুর আলোকে তিনি বলেন, দেশের চাল পলিশিংয়ের মাধ্যমে ১৫-২০ শতাংশ চাল নষ্ট করা হচ্ছে। ফলে গড়ে প্রায় ১৫ শতাংশ চালের অপচয় হিসাবে নিলে গত বছর প্রায় ৬০ লাখ টন চাল নষ্ট হয়েছে।

 

 

অন্যদিকে ভাতের মাড় ফেলে দেওয়ার কারণে চালের ১৫ শতাংশ নষ্ট হয়। এর মাধ্যমে আরো ৬০ লাখ টন চাল নষ্ট হচ্ছে। সব মিলিয়ে দেশের প্রায় এক কোটি ২০ লাখ টন চাল নষ্ট হচ্ছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মন্ডল বলেন, ‘কয়েক দশক ধরে আমরা চালের ওপর এক ধরনের অত্যাচার করছি। চালের সব ধরনের পুষ্টি উপাদান ফেলে দিয়ে আমরা ঝুঁকিযুক্ত খাবারটি গ্রহণ করছি।

 

 

এর মাধ্যমে দেশের মানুষের মধ্যে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াচ্ছি। এ ছাড়া অন্যান্য রোগের ঝুঁকিও বাড়াচ্ছি। এ জন্য প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন। এই অন্দোলনে প্রতিটি পরিবারকে যুক্ত হতে হবে।’

বর্তমানে দাবদাহ নিয়ে কৃষকদের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এবার ধান উৎপাদনে কৃষককে বাড়তি সেচ দিতে হবে। এ জন্য কৃষকের ধান উৎপাদনে খরচ বাড়বে। বর্তমানে যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তা যৌক্তিক নয়। প্রতি মণ ধানের ন্যূনতম মূল্য এক হাজার ৫০০ টাকা হওয়া প্রয়োজন। সেটি না পেলে ধানের উৎপাদনে আগামী বছর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তবে ধানের উৎপাদন খরচ বাড়লে চালের দাম বাড়তে পারে। এ জন্য দেশের চার কোটি মানুষের জন্য কম দামে চাল সরবরাহ করতে হবে। ফলে ভোক্তা ও কৃষক উভয়কেই সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © দৈনিক সত্যের কণ্ঠ- ২০২৫